পার্থ গোপাল বণিকের জামিন: বিচারকের ব্যাখ্যা চাইলেন হাইকোর্ট
৮০ লাখ টাকাসহ হাতে নাতে গ্রেফতার বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ গোপাল বণিক অস্বাভাবিক ভাবে জামিন দেওয়ায় বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনকে ৭ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে পার্থ গোপাল বণিকের অস্বাভাবিক ভাবে জামিন দেওয়ার বিষয় নিয়ে চ্যানেল ২৪ এ প্রচারিত প্রতিবেদনের ভিডিও ক্লিপ আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২৮ জুন) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ গোপাল বণিকের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান লিংকন।
এর আগে ৮০ লাখ টাকাসহ হাতে নাতে গ্রেফতার বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ গোপাল বণিককে অস্বাভাবিক ভাবে জামিন দেওয়ার বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন। এছাড়া তার জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক।
গত ১৯ জুন জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপাল বণিক জামিন পান।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন। পরে জামিন আদেশ নিয়ে তার পরদিনই তিনি জেল থেকে বের হন। অনেকটা গোপনে এবং তড়িঘড়ি করে এই জামিন ও তিনি কারামুক্ত হন।
এ মামলায় গত বছরের ৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
২০১৯ সালের ২৭ জুলাই ডিআইজি পার্থ গোপাল বণিক চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তখন তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৮০ লাখ টাকা অর্জন করেন। সেই টাকা পার্থ গোপাল বণিক তার নিজ বাসার ক্যাবিনেটে লুকিয়ে রাখেন। অনুসন্ধানকালে অভিযান পরিচালনা করে তার বাসা থেকে ওই টাকা জব্দ করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামি পার্থ গোপাল বণিক গত বছরের ২৮ জুলাই দুদকে হাজির হয়ে অনুসন্ধান টিমের কাছে বক্তব্য দেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে পার্থ গোপাল বণিক জানান, তার বাসায় ৩০ লাখ টাকা নগদ আছে। এই টাকার বৈধ উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। পরে অভিযান চালিয়ে তার বাসা থেকে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। এ মামলায় হাইকোর্টে একাধিকার জামিন আবেদন করেও তিনি জামিন পাননি।
এমএইচডি/এসএম