মা-বাবা-বোনকে হত্যা করেও ‘অনুশোচনা নেই’ বললেন মুন
পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং আরও কিছু কারণে মা-বাবা ও বোনকে হত্যা করেন মেহজামিন মুন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার কোনো ‘অনুশোচনা নেই’ বলে জানান তিনি।
রোববার (২০ জুন) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালতে হাজির করা হয় মুনকে। শুনানির আগে আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নে নির্লিপ্ত মুন তার এমন অনুভূতির কথা জানান। এসময় মেহজামিন আরও জানান, এখন পর্যন্ত তিনি স্বাভাবিক আছেন। ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত ছিল না। তিনি একাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। আদালতে আনা-নেওয়ার পুরো সময় জুড়ে খোশ মেজাজে ছিলেন মুন।
বিজ্ঞাপন
পরে বাবা-মা ও বোনকে হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় মেহজামিন মুনের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
নিহত মাসুদ রানার বড় ভাই সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে কদমতলী থানায় মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন : কদমতলীতে মা-বাবা-বোনকে হত্যা করে পুলিশে ফোন দেন মুন
এর আগে শনিবার (১৯ জুন) সকালে কদমতলীর মুরাদপুর রজ্জব আলী সরদার রোডের ৫ তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে মুনের বাবা-মা ও বোনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন- মুনের বাবা মাসুদ রানা (৫০), মা মৌসুমী ইসলাম (৪০) ও ছোট বোন জান্নাতুল (২০)। এসময় অচেতন অবস্থায় মুনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ও মেয়ে তৃপ্তিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কদমতলী থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) জাকির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৩ খুনের ঘটনায় নিহত মাসুদ রানার বড় ভাই সাখাওয়াত হোসেন মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় শফিকুলকে ১ নম্বর আসামি এবং মুনকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। আমরা মুনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আজ (রোববার) আদালতে হাজির করি। আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
তিনি বলেন, মুনের স্বামী শফিকুলকে হাসপাতাল থেকে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে। আগামীকাল (সোমবার) তাকে আদালতে হাজির করা হবে। পরিবারের অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ ও বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করে তদন্ত করা হচ্ছে।
টিএইচ/এইচকে/জেএস