দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় ডিআইজি প্রিজনস পার্থ গোপাল বণিকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন এ আদেশ দেন। 

একই আদালত ডিআইজি প্রিজনস বজলুর রশিদের জামিন দিয়েছিলেন।

শনিবার (১৯ জুন) সংশ্লিষ্ট দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত মার্চ থেকে তারা জামিনের আবেদন করছেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত শুনানি শেষে তার অস্থায়ী জামিনের আদেশ দেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এহসানুল সমাজী।

এর আগে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম বিশেষ জজ আদালত-১০ চলছিল। কিন্তু গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মামলাটি নিয়ে বিব্রত বোধ মনে করায় মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ বদলির আদেশ দেন।

গত বছরের ২৪ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন ডিআইজি প্রিজনস পার্থের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১৯ সালের ২৮ জুলাই কারাগারের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পার্থ গোপাল বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করার এক পর্যায়ে অভিযানে যায় দুদক। ওইদিন বিকেলে ধানমন্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপালের ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করে দুদক। এর পরেই তাকে আটক করা হয়। পরদিন ২৯ জুলাই তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২) ধারায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, বরখাস্ত করা কারা উপমহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিক সরকারি চাকরিতে দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন। এসব টাকা গোপন করে তার নামীয় কোনো ব্যাংক হিসাবে জমা না রেখে বিদেশে পাচারের উদ্দেশে নিজ বাসস্থানে লুকিয়ে রেখে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

টিএইচ/জেডএস