লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচন হতে বাধা নেই
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচন স্থগিত চেয়ে বিএনপি নেতার দায়ের করা রিট খারিজের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে আগামী ২১ জুন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের নির্বাচন হতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
এদিকে মানব ও অর্থ পাচারের দায়ে কুয়েতের আদালত দণ্ডিত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের এমপি পদ বাতিল ও আসন শূন্য ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের আদেশও বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
গত ১৩ জুন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচন স্থগিত চেয়ে বিএনপি নেতার দায়ের করা রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট করেন বিএনপির আবুল খায়ের ভূঁইয়া।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি মানব ও অর্থ পাচারের দায়ে কুয়েতের আদালতের রায়ে দণ্ডিত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সদস্য পদ বাতিল করা হয়। সংসদ সচিবালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। এদিকে লক্ষ্মীপুর-২ আসন শূন্য ঘোষণা করে আগামী ২১ জুন ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন।
গত ২৮ জানুয়ারি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় কুয়েতের আদালত। পাশাপাশি তাকে ১৯ লাখ কুয়েতি রিয়াল বা ৫৩ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়।
গত বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েতের বাসা থেকে আটক করা হয় তাকে। আটকের সাড়ে সাত মাস আর বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর সাড়ে তিন মাসের মাথায় দণ্ডিত হন কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল।
এমএইচডি/এসএম