অমির দুই সহযোগী ২ দিনের রিমান্ডে
চিত্রনায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার তুহিন সিদ্দিকী অমির দুই সহযোগীর ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- বাছির ও মশিউর মিয়া।
বুধবার (১৬ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
আদালতের দক্ষিণখান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বুধবার দুপুরে দক্ষিণখান থানায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে প্রত্যেক আসামির ১০দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৫ জুন) মাদক মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি আসামি নাসির ও তুহিন সিদ্দিকী অমিকে শুনানি শেষে সাত দিন রিমান্ডের এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে তুহিন সিদ্দিকী অমি, লিপি আক্তার (১৮), সুমি আক্তার (১৯) ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধার (২৪) তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিশেষ অনুমতি ছাড়া বেআইনিভাবে পাসপোর্ট রাখার দায়ে সকালে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে বাছির ও মশিউর মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক মিয়া ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজিজুল হক মিয়া বলেন, দক্ষিণখান থানাধীন আশকোনা হজ ক্যাম্প সংলগ্ন সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তুহিন সিদ্দিকী অমির। সে প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তা বাছির ও মশিউর মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গতকাল রাতে ঢাকা জেলা পুলিশ এসে দক্ষিণখান এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০২ পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর ঢাকা জেলা পুলিশ বাদী হয়ে পাসপোর্ট অ্যাক্টে দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। সেই মামলায় বাছির ও মশিউর মিয়াকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটি তুহিন সিদ্দিকী অমির হলেও এর পরিচালনার দায়িত্ব ছিলেন বাছির ও মশিউর মিয়া। তাদের মধ্যে একজন প্রতিষ্ঠানটির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও অন্যজন মার্কেটিং ডিরেক্টর।
কী অভিযোগে মামলা করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশেষ কোনো অনুমতি ছাড়া একটি লোক বা কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে এতগুলো পাসপোর্ট থাকা বেআইনি। সে কারণেই তাদের গ্রেফতার এবং মামলা করা হয়েছে। এই মামলায় আসামি অমি নিজেও। যেহেতু অমি অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার আছে, তাই তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে।
টিএইচ/এসএম