ডিএজি-এএজি নিয়োগের বৈধতার রিট শুনানিতে বিব্রত হাইকোর্ট
উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্যে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জের রুলের শুনানিতে বিব্রতবোধ করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানিতে বিব্রতবোধ করেন। এখন নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। তিনি রুলটি শুনানির জন্য একটি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন।
বিজ্ঞাপন
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া। আইনজীবী জানান, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) হারুনুর রশীদ ও কামালউদ্দীন আহমেদ এবং এক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) আল মামুন কোন কর্তৃত্ব বলে পদে আছেন তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
আইন সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর, বার কাউন্সিল সচিব ও সংশ্লিষ্ট তিন ডিএজি ও এএজিকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এছাড়া আরও ছয় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের বিষয়ে যাচাই করে প্রতিবেদন দিতে বার কাউন্সিল সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই রুলের জবাব দাখিল না করায় এবং বার কাউন্সিল থেকে কোনো পদক্ষেপ না পেয়ে রুল শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই রুলের শুনানিতে বিব্রতবোধ করেছেন আদালত।
২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ১৭৫ জন আইন কর্মকর্তার (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল) নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া। আইনে নির্ধারিত পেশাগত অভিজ্ঞতার শর্ত পূরণ না করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের নিয়োগ দেওয়ায় রিট আবেদনটি করেন তিনি।
এমএইচডি/এইচকে