ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করে আগামী ৮ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

সোমবার (১৪ জুন) সাভার থানার মামলাটির এজাহার আদালতে পৌঁছালে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার এজহারটি গ্রহণ করেন। এরপর মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) সাভার থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরীমণি। মামলায় নাসির উদ্দিন ও অমির নাম উল্লেখ করে আরও ৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এর আগে সকালে রূপনগর থানার মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ করেন পরীমণি।

সাভার থানার পরিদর্শক কাজী মাইনুল ইসলাম মামলার বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পরীমণি নিজে বাদী হয়ে মোট ৬ জনের নামে এ মামলা করেছেন (মামলা নম্বর ৩৮)।

এরপর মামলার প্রধান আসামি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওইদিন বিকেল ৩টার দিকে উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে নাসির উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। একই সময় মামলার ২ নম্বর আসামি অমি এবং আরও তিন নারীকেও গ্রেফতার করা হয়। তিন নারী হলেন লিপি, সুমি ও স্নিগ্ধা। 

জানা যায়, ৯ জুন (বুধবার) রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করা হয়। রোববার (১৩ জুন) রাতে প্রথমে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরেন এই অভিনেত্রী। পরে তার নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সামনে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বুধবার রাতে উত্তরার বোট ক্লাবে ঘটনাটি ঘটে। নাসির উদ্দিন নামে একজন তাকে নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে এ ঘটনা ঘটাতে চেয়েছিলেন।’

টিআই/জেডএস