বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির নেতা আহসান হাবিব কামাল

দুর্নীতির মামলায় ৭ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির নেতা আহসান হাবিব কামালকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই আদেশের ফলে তার মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিচারপতি মো. সেলিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আহসান হাবিব কামালের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে এম ফারহান।

আদেশর বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন আহসান হাবিব কামালের অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী।

গত বছরের ৯ নভেম্বর ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় সাবেক মেয়র আহসান হাবিব, সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল ইসলামসহ পাঁচজনকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত। একই সঙ্গে আদালত সাবেক মেয়র ও জাকির হোসেন নামের এক ঠিকাদারকে ১ কোটি টাকা করে জরিমানা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হচ্ছেন- বরিশাল পৌরসভার সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইসহাক, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী খান মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার ও নগরীর কালিবাড়ী রোড এলাকার জাকির হোসেন।

তাদের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের ১১ অক্টোবর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন তৎকালীন জেলা দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা আবদুল বাছেত। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঘটনার সময় আসামিরা বরিশাল পৌরসভার দায়িত্বে ছিলেন। আহসান হাবিব কামাল পৌর চেয়ারম্যান ও অন্যান্যরা পৌরসভায় কর্মরত অবস্থায় ১৯৯৫ সালের ২১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯৬ সালের ৩ জুন পর্যন্ত পরস্পর যোগসাজশে পৌর এলাকার টেলিফোন শিল্প সংস্থা কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামতের নামে ভুয়া জাল প্যাড তৈরি করে, ভুয়া দরপত্রের মাধ্যমে ভুয়া ঠিকাদার নিয়োগ দেখিয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে বরিশাল ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে চলতি হিসাব খুলে টেলিফোন সংস্থার দেওয়া ৩৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ৪টি চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করেন। এর মধ্যে ১১ লাখ ৯৯ হাজার টাকার রাস্তা মেরামত দেখিয়ে বাকি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা ক্ষমতার অপব্যবহার করে আত্মসাৎ করেন। 

এমএইচডি/এইচকে