আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের আরও দুই সদস্য ভারতে নারী পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

বুধবার (৯ জুন) পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আসামি মেহেদি হাসান ও মহিউদ্দিন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ম্যাট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালত তাদের জবানবন্দি  রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

এদিন মামলার অপর আসামি আবদুল কাদেরকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকেও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ৩ জুন এই তিন আসামিকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে ৮ জুন আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের মূলহোতা আশরাফুল মণ্ডল ওরফে বস রাফি ও তার সহযোগী মো. আব্দুর রহমান শেখ ওরফে আরমান দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

উল্লেখ্য, ভারতে নারী পাচার এবং সম্প্রতি বাংলাদেশি তরুণীকে সেখানে পৈশাচিক নির্যাতনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের মূলহোতা আশরাফুল মণ্ডল ওরফে বস রাফি ও তার সহযোগী ম্যাডাম সাহিদাসহ পাচার চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

টিএইচ/এসকেডি