চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তারের হয়ে জেল খাটা নিরপরাধ মিনুকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রকৃত আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

এছাড়া মিনুর জেল খাটার ঘটনায় তিন আইনজীবীকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। এই তিন আইনজীবী হলেন, চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এম এ নাসের, অ্যাডভোকেট নুরুল আনোয়ার ও অ্যাডভোকেট বিবেকানন্দ চৌধুরী।

আজ (সোমবার) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে মিনুর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

এর আগে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তারের হয়ে জেল খাটা মিনুর বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী শিশির মনির। গত ২৪ মার্চ এ ঘটনায় মিনুর নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়।

কারাগারের একটি বালাম বই দেখতে গিয়ে মিনুর সাজা খাটার বিষয়টি উঠে আসে। সেখানে দেখা যায় একজনের পরিবর্তে যাবজ্জীবন সাজা খাটছেন এই নারী। পরবর্তীতে বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হলে এ মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। 

হত্যা মামলায় চট্টগ্রামের একটি আদালত যাবজ্জীবনসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে। কিন্তু তার পরিবর্তে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জেল খাটছিলেন এই মিনু। নামের মিল না থাকার পরও কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলে মিনু চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন দুই বছর ৯ মাসের বেশি সময়। 

এমএইচডি/এনএফ/জেএস