কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি পুলিশের সোর্স মোহাম্মদ আজিজ ওরফে আইয়াসকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আসামির জামিনের বিরোধিতা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। আসামির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম। 

২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে দা‌খিল করা হয়। কক্সবাজা‌রের ‌সি‌নিয়র জু‌ডি‌শিয়াল ম্যা‌জি‌স্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদাল‌তে এই চার্জ‌শিট দা‌খিল করা হয়।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে টেকনাফ শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা। এ ঘটনায় ওই বছর ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয় ওই মামলায়। আদালত মামলাটির তদন্ত করার আদেশ দেন র‍্যাবকে। এরপর গত বছরের ৬ আগস্ট প্রধান  আসামি লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

পরবর্তীতে সিনহা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার অভিযোগে পুলিশের দায়ের মামলায় সাক্ষী মোহাম্মদ আইয়াস এবং শামলাপুর চেকপোস্টের দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। মোহাম্মদ আইয়াসকে মামলায় আসামি করা হয়।

এমএইচডি/এইচকে