জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুসারে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে বদলি নীতিমালা কেন প্রণয়ন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের সরাসরি নিয়োগের পূর্বে শূন্য পদের বিপরীতে এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে বদলি নীতিমালা প্রণয়ন না করার নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

বুধবার (২ জুন) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত  হাইকোর্ট বেঞ্চ চার সপ্তাহের এ রুল জারি করেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ ও কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, এনটিআরসিএর চেয়ারম্যানসহ ৬ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দু কুমার রায়।  

পরে আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালার ১২ অনুচ্ছেদ অনুসারে সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক,কর্মচারীদের প্রয়োজনবোধে নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে বদলির করতে পারবে। কিন্তু ১৯৯৫, ২০১০, ২০১৮, ও ২০২১ ইং সালে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা প্রণয়ন করা হলেও এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে বদলি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। এজন্য ১৩০ জন এমপিওভুক্ত শিক্ষক হাইকোর্টে রিট করেন।

এমএইচডি/এসকেডি