কক্সবাজারে থাকা জীবিত ঘোড়াগুলোর খাদ্য ও আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সরকারকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশে অসুস্থ ঘোড়াগুলোর চিকিৎসা করাতে ভেটেরিনারি হাসপাতালে পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

সম্প্রতি খাদ্য ও চিকিৎসার অভাবে ঘোড়া মারা যাওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস) এবং পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের পক্ষে এ নোটিশ পাঠানো হয়।

সোমবার (৩১ মে) নোটিশ পাঠানো আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৩০ মে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের সভাপতি, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদফতরের উপপরিচালক ও কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। 

নোটিশে বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কক্সবাজার নগরী তার অপরূপ সৌন্দর্যর জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন লক্ষাধিক পর্যটক এ নগরীতে ভিড় করেন। দেশ-বিদেশ থেকে আসা এসব পর্যটকরা বিনোদনের অংশ হিসেবে ঘোড়ায় চড়েন। প্রায় দুই শতাধিক ঘোড়া বিনোদনে ব্যবহার করা হয়।

বৈশ্বিক মহামারির সংকটকালীন সময়ে পর্যটকের সংখ্যা কমে যাওয়ায় কক্সবাজারে বছরব্যাপী আর্থিক জোগানের উৎস ঘোড়াগুলো খাদ্যের অভাবে মারা যাচ্ছে। সম্প্রতি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী খাবারের অভাবে দুর্বল ও অসুস্থ হয়ে পড়ছে ঘোড়াগুলো। গত এক মাসে খাদ্যের অভাবে ২১টি ঘোড়ার মৃত্যু হয়েছে এবং গত বছরের প্রথম দফায় লকডাউনের সময়ে খাদ্য সংকটে ৪০টির বেশি ঘোড়ার মৃত্যু হয়েছে মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ঘোড়ার মালিক ও তত্ত্বাবধায়করা ঘোড়ার খাদ্য জোগান না দিয়ে ঘোড়াগুলোকে রাস্তায় ছেড়ে দিচ্ছেন।

দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী, কোনো প্রাণীকে প্রয়োজনীয় খাদ্য না দেওয়া এবং অসুস্থ অবস্থায় লোকালয়ে মুক্ত করে দেওয়া প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ হিসেবে গণ্য হবে এবং তা দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই কক্সবাজারে থাকা ঘোড়া, ঘোড়ার মালিক ও তত্ত্বাবধায়কদের তালিকা করে ঘোড়াগুলোর জন্য নিরাপদ আবাসন ও খাদ্য নিশ্চিত করা এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে এ নোটিশ দেওয়া হয়। 

পাঁচ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। 

এমএইচডি/জেডএস