হাইকোর্টের সংগৃহীত ছবি

সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পালিয়ে থাকা প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের অর্থপাচার ও দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, বিদেশে শতশত কোটি টাকা পাচার হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংক কোথায়? তারা কি করছে? তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না? 

বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থপাচারের দায় এড়াতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান।

এদিকে সোমবার (০৪ জানুয়ারি) হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ রায়ে বলেছেন, ব্যক্তিগত লাভের বিনিময়ে বাংলাদেশের ব্যাংকের কর্মকর্তারা দেশের অর্থআত্মসাতকারী ও অর্থপাচারকারীদের আশ্রয় প্রশয় দিচ্ছেন।

হাইকোর্ট রায়ে বলেন, এটা জনগণের দুর্ভাগ্য যে, যেখানে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দেশের অথনৈতিক উন্নয়ন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মনিটরিংয়ের কাজ করার কথা, সেখানে ব্যাংকটির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার, জেনারেল ম্যানেজার, নির্বাহী পরিচালক ও ডেপুটি গর্ভনররা ব্যক্তিগত মুনাফার জন্য অর্থপাচারকারী ও অর্থ আত্মসাতকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে মাতৃভূমির অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে।

বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বাংলাদেশ ইন্ড্রাস্টিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড- বিআইএফসি এর বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের অপসারণ সংক্রান্ত মামলার রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

এমএইচডি/জেডএস