জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদের টার্গেট কিলিং করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেসনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী সানজিদ হাসান তানভীর। তারা টার্গেট কিলিংয়ের বিচার ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি।

সানজিদ হাসান তানভীর বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন। তারা গণহত্যা চালানোর পরও প্রতিনিয়ত ফেসবুক পেজে সাইবার স্পেস ব্যবহার করে প্রকাশ্যে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। যারা আন্দোলনে ছিল তাদের হত্যা করা হবে বলে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তারা গেরিলা যুদ্ধের নামে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে।

‘নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সন্ত্রাসীদের এমন হুমকি কেন? এমন প্রশ্ন আমরা জাতির সামনে রাখতে চাই।’ 

তিনি বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী গাজীপুরের সাকিবকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরবর্তী সময়ে সে জান বাঁচাতে পালিয়ে যায়। এই ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিনিয়ত ঘটছে, আমরা দেখে আসছি।

আমাদের প্রশ্ন রাষ্ট্র আমাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে কিনা? কারণ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ক্যাডাররা আমাদের তৃণমূলের আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেছে। 

সানজিদ হাসান আরও বলেন, এ সমস্ত সন্ত্রাসীরা এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই। টার্গেট করে কিলিং করার পর তারা বলছে আলহামদুলিল্লাহ। আমরা এ সমস্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হোক সেটা চাই। আমরা এজন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। গণহত্যা চলার সময় আমরা যারা মাঠে আন্দোলন করেছি তারা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার সাক্ষী। সাক্ষীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশে আইন আছে, আমরা সেজন্য আদালতে এসেছি। 

এদিন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থী ও সমন্বয়ক কাওসার হাবিব বলেন, আমাদের সহকর্মীদের বিভিন্নভাবে হামলা করা হচ্ছে। সহকর্মীরা টার্গেট কিল্লিংয়ের শিকার হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশে বিপ্লবীরা কেন শহীদ হবে। 

তিনি বলেন, এ সমস্ত বিষয়ের জন্য আমরা ট্রাইব্যুনালে এসেছি, ওনারা বলেছেন নিরাপত্তার বিষয়টি আদালতে তুলে ধরবেন। আমাদের প্রাইভেট ইউনিভারসিটির আন্দোলনের কারণেই জুলাই-আগস্ট এর গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।  

এমএইচডি/আরএইচটি/এসএম