ট্রাইব্যুনালে র্যাবের সাবেক দুই কর্মকর্তা
বিষণ্ন ছিলেন আলেপ, এদিক-ওদিক তাকাচ্ছিলেন ফারুকী
গুমের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় র্যাবের সাবেক দুই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ফের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত র্যাবের দুই কর্মকর্তা হলেন– সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) মহিউদ্দিন ফারুকী ও বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন।
বিজ্ঞাপন
ট্রাইব্যুনাল থেকে যখন তাদের বের করা হয় তখন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনকে বিষণ্ন দেখা যায়। অন্যদিকে প্রিজনভ্যানে ওঠানোর সময় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মহিউদ্দিন ফারুকীকে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছিলেন।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ট্রাইব্যুনালে শুনানি শেষে র্যাবের সাবেক দুই কর্মকর্তাকে কারাগারে নিতে পুলিশের প্রিজনভ্যানে উঠানো হয়।
আরও পড়ুন
এসময় দেখা যায়, শুনানি শেষে প্রথমে মহিউদ্দিন ফারুকীকে ট্রাইব্যুনালে থেকে বের করা হয়। পুলিশের প্রিজনভ্যানে ওঠানোর সময় তিনি এদিক-ওদিক তাকাচ্ছিলেন। তাকে প্রিজনভ্যানে উঠানোর পর ট্রাইব্যুনাল থেকে বের করা হয় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনকে। এসময় তাকে বিষণ্ন দেখা যায়। নিচের দিকে তাকিয়ে হাঁটছিলেন তিনি। কয়েকজন পুলিশ সদস্য তার ডান ও বাম হাতে ধরে প্রিজনভ্যানে ওঠান।
এর আগে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে বিচারক গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি তাদের আবারও ট্রাইব্যুনালে হাজির করার আদেশ দেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম সাংবাদিকদের বলেন, তাদের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ আনা হয়েছে। যাদের গুম করা হয়েছিল সেই ভিকটিমরা এসে আমাদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাদের গুম করে নিয়ে খুব নির্যাতন করা হতো।
তিনি বলেন, আজ তাদের ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়েছিল। ট্রাইব্যুনালের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি তাদের ট্রাইব্যুনালে আবার হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি ট্রাইব্যুনালকে জানাতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর গুম এবং গুমের পর নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় র্যাবের সাবেক দুই কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আজ হাজিরের আদেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
এমএসি/এএসএস/এসএসএইচ