প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ অনুযায়ী শূন্য পদের বিপরীতে ২০৮ জনকে কেন নিয়োগ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জেলায় ২০৮টি পদ শূন্য রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১ ডিসেম্বর) এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

কোটা থাকা সত্ত্বেও নিয়াগ থেকে বঞ্চিত হওয়ায় এটিএম আতিকুর রহমান, মোহাম্মদ রেজোয়ানুল হক, মোহাম্মদ আরিফ, সেলিনা খাতুন, মৌরি বেগম. আবুল বাশারসহ ১৮টি জেলার ২০৮ জন চাকরিপ্রার্থী এই রিট দায়ের করেন।

আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ডিজিসহ তিনজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আইনজীবী সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ২১টি জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকদের শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে আজকের ২০৮  জন রিট পিটিশনার আবেদন করে যথারীতি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে ভাইভায় অংশগ্রহণ করেন।

কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর তাদের প্রকাশিত সার্কুলারের শর্ত (১০ নম্বর) এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা না মেনে শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ প্রদান না করে কম সংখ্যক প্রার্থী নিয়োগ প্রদানের জন্য সুপারিশ করে। উক্ত নিয়োগের ফলে আজকের রিটকারীরা কোটা থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত হন। তাই তারা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে আজ রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বে একই বিষয়ে আপিল বিভাগের রায় রয়েছে। আমি আশা করি রুল জারি হয়ে এলে মামলাটি দ্রুত শুনানি হবে। আর আমার রিট পিটিশনারগণ ন্যায় বিচার পাবেন। 

এমএইচডি/এমএ