অবৈধ মাদকদ্রব্য ধ্বংসে প্রতি জেলায় যন্ত্র স্থাপনে হাইকোর্টের রুল
জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও পরিবেশ দূষণ রোধে জব্দকৃত অবৈধ মাদকদ্রব্য ধ্বংসের জন্য দেশের প্রতিটি জেলায় বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের সঙ্গে ড্রাগ ডিসপোজাল ইনসিনারেটর মেশিন স্থাপনে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান রোমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।
আরও পড়ুন
শুনানিতে আইনজীবী মাহফুজুর রহমান রোমান বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ধারা ২৬(৪) অনুযায়ী জব্দকৃত অবৈধ মাদকদ্রব্য একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়। কিন্তু ধ্বংসের সময় কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় না। এমনকি বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫, বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০২২ এর বিধিসমূহ মানা হয় না। জব্দকৃত অবৈধ মাদকদ্রব্য ধ্বংসের জন্য উপযুক্ত জায়গা ও যন্ত্র নির্ধারণ না থাকায় উন্মুক্ত স্থানেই জব্দকৃত বিপুল পরিমাণ গাঁজা, ফেনসিডিল ও মদ ধ্বংস করা হচ্ছে। এতে করে মাদকের উৎকট গন্ধে সেখানে টেকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। বিচারপ্রার্থী, পুলিশ, আইনজীবীসহ অন্যান্য সাধারণ মানুষ মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। এসব বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হলেও কোনো প্রকার আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি।
আইনজীবী বলেন, এ কারণে গত ২৬ জুন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল আশিক বিবাদীদের বরাবর এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন করে কোনো প্রকার সদুত্তর না পেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
এমএইচডি/এমজে