সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিন ও সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের স্মরণসভায় বক্তারা বলেছেন, তারা ছিলেন সাহসী। আইনজীবীদের কল্যাণে, বিচার বিভাগের কল্যাণে তারা যে ভূমিকা রেখে গেছেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

মঙ্গলবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের কনফারেন্স রুমে এক স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন- হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. ইমদাদুল হক আজাদ, সাবেক বিচারপতি মো. দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটির(বিমস) চেয়ারম্যান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এন গোস্বামী, সুপ্রিম কোর্ট রিপোর্টার্স ফোরামের(এসআরএফ) যুগ্ম সম্পাদক ও অ্যাক্রিডিটেড মেডিয়েটর মেহেদী হাসান ডালিম।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুপ্রিম কোর্ট মেডিয়েটর্স ফোরামের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ মো. বাবর।

বক্তারা বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন বিচার বিভাগ পৃথকীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন। তিনি তার অবদান ও রায়ের মাধ্যমে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। অন্যদিকে সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম ছিলেন সাহসিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ থাকায় তাদের শপথ পড়াননি। এতে তিনি সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন।

বক্তারা আরও বলেন, আদালতে মামলার শুনানিকালে কোনো আইনজীবী ভুল করলে তারা শুধরিয়ে দিতেন, শিখিয়ে দিতেন। তারা আইন অঙ্গনের মামলাজট কমাতে মেডিয়েশনের ওপর গুরুত্বারোপ করতেন।

অনুষ্ঠানে অ্যাক্রিডিটেড মেডিয়েটর ও অন্যান্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ নভেম্বর সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম মারা যান। এর এক সপ্তাহ পর গত ২৪ নভেম্বর মারা যান সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিন।

এমএইচডি/এমজে