কোণঠাসা করে রাখতে নিজের জন্মদাত্রী মাকে জামায়াতের রোকন বলে অপপ্রচার করে বেড়ান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের রিপোর্টার্স রুমের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তুরিনের মা সামসুন নাহার তাসলিম এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক না থাকলেও তুরিন আফরোজ প্রতিনিয়ত সব জায়গায় আমাকে জামায়াতের রোকন বলে অপপ্রচার চালায়। এ অপপ্রচার করে ও আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাকে উত্তরার বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। এখন নতুন সরকার এসেছে। ড. ইউনূসের সরকারের কাছে আবেদন আমার বাসা ফেরত দেওয়া হোক।

তুরিন আফরোজকে অনৈতিক ও উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ায় তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন সামসুন নাহার তাসলিম। নিজ মেয়ের কাছে নিগৃহীত হওয়ার কথাও জানান তিনি।

তুরিন আফরোজের মা বলেন, এখানে-সেখানে ঘুরে বেড়াই। আমি আমার দেশ ছেড়ে এ বয়সে কেন বিদেশে পড়ে থাকব? এ দেশ আমার জন্মস্থান, আমার ৫০ বছরের সংসার এখানে। আমি তো এখানেই থাকতে চাই। আমি আমার সংসারে ফিরে যেতে চাই। আমার স্বামী মারা যাওয়ার ১৮ দিন পর আমাকে বাসা থেকে বের করে দেয় তুরিন। আমার দোষ তার কিছু আচরণের প্রতিবাদ করা। যেমন– ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে সবসময় ভাড়ার টাকা আমিই নিতাম। আমার স্বামী অবসরে যাওয়ার পর থেকে বাড়ি ভাড়ার টাকায় আমাদের সংসার ও ওষুধের খরচ চলত। ওর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে তুরিন বাসা ভাড়ার টাকা জোর করে নিয়ে নেয়।

তিনি বলেন, অপরিচিত লোকদের রাত-বিরাতে ঘরে প্রবেশ করানো নিয়ে দারোয়ান ও ভাড়াটিয়ারা অভিযোগ করলে তুরিনের সঙ্গে প্রায়ই আমার ঝগড়া লাগত। এসব বিষয়ে নিষেধ করলে ডিজিএফআই, র‌্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম করে সে ভয় দেখাতো। বলত ‘ওরা সবাই তার বন্ধু।’ কোনো কিছু বললেই ৫৭ ধারায় গ্রেপ্তার করানোর ভয় দেখাতো।

এমএইচডি/এসএসএইচ