রায় বহাল : চাকরি ফেরত পাচ্ছেন সেই কৃষি কর্মকর্তা
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাসান রুহীকে চাকরিতে পুনর্বহালের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার এ বিষয়ে সরকারের করা আবেদন খারিজ করে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো.আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
আদালতে হাসান রুহীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।
বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল ত্যাগ, কর্তৃপক্ষের আদেশ না মানা, বিভাগীয় কার্য সম্পাদনে চরম অবহেলা, অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং কাজ না করে বেতন দাবি করে মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর তাকে চাকরি হতে অপসারণ করা হয়। এর বিরুদ্ধে ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি মহাপরিচালক বরাবর আপিল করেন। একই বছরের ২০ ডিসেম্বর সেই আপিল নামঞ্জুর হয়।
পরে তিনি প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তার মামলা খারিজ করা হয়। এরপর হাসান রুহী আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন।
আরও পড়ুন
২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল রায় দেন। রায়ে তার আপিল আংশিক মঞ্জুর করেন। ওই আদেশে বলা হয়, প্রার্থীকে চাকরিতে পুনর্বহালসহ বিধি মোতাবেক সব বকেয়া বেতন ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। চাকরিতে অনুপস্থিতিকে বিনা বেতনে অসাধারণ ছুটি হিসেবে গণ্য হবে।
এর বিরুদ্ধে সরকারপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
ব্যারিস্টার ওমর ফারুক জানান, ২০০৮ সালে হাসান রুহী নিয়োগ পান। পরে কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ না মানা, অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন অভিযোগ তুলে ওনাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। এর বিরুদ্ধে মামলার পর প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল ওনার বিপক্ষে রায় দেন। আপিলের পর আপিল ট্রাইব্যুনালে ওনার পক্ষে রায় আসে। ওই রায়ে বলা হয়, দ্বিতীয়বার শোকজ নোটিশের সময় ওনাকে তদন্ত রিপোর্ট দেননি এবং নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ ওনাকে শাস্তি দেননি।
তিনি আরও বলেন, মামলাটি আপিল বিভাগে আসার পর হাসান রুহী নিজে শুনানির জন্য আদালতে দাঁড়িয়েছেন। পরে আদালত ওনাকে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডে পাঠিয়েছেন। লিগ্যাল এইড থেকে আইনজীবী হিসেবে আমাকে নিযুক্ত করা হয়। গতকাল (মঙ্গলবার) শুনানি করেছি। আজ রায় হয়েছে। ওনার বিরুদ্ধে অভিযোগ উনি কেন দরখাস্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বকেয়া বেতন চেয়েছেন। এটা নাকি ওনার অপরাধ। আমি দেখিয়েছি ওনার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো বর্ণনা নেই। উনি দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা। ওনাকে তৃতীয় শ্রেণীর দেখিয়ে যেভাবে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ ছাড়া বরখাস্ত করা হয়েছে— আদালত এটা শুনেছেন এবং রায় দিয়েছেন। তবে ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত অর্থাৎ যে সময়কাল তিনি অনুপস্থিত ছিলেন, তিনি সে সময়ের বেতন-ভাতা পাবেন না। ওটা ছুটি হিসেবে গণ্য হবে। আর চাকরি ফেরত পাবেন।
এমএইচডি/এমজে