বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় রামপুরা থানায় দায়ের করা মামলাটির অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে তিন মাস সময় নিয়েছে তদন্ত সংস্থা ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) মামলাটি অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এডিসি শরাফত উল্লাহ প্রতিবেদন দাখিলে তিন মাস সময় চান।

ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালতে শরাফত উল্লাহ জানান, ফারদিন আত্মহত্যা করেছে— এই মর্মে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত সংস্থা ডিবি, সেটির তথ্য, মোবাইল কললিস্ট ও সিসিটিভি ফুটেজ আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি। সেই সঙ্গে মামলার আগের তদন্ত কর্মকর্তাদের বক্তব্য শুনেছি। চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচনে সিআইডি টিম সর্বাত্মক সচেষ্ট আছে।

তিনি বলেন, এখনো প্রতিবেদন করার মতো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন সম্ভব হয়নি। আমাদের আরও কিছুদিন সময় দিতে হবে। পরে আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার বাদী ফারদিনের বাবা নূরউদ্দিন রানা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত বছরের ১৬ এপ্রিল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালত ডিবি পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বাদীর নারাজি গ্রহণ করে সিআইডিকে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

২০২২ সালের ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। এ ঘটনায় বুশরাসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে রামপুরা থানায় নিহত ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার পর ১০ নভেম্বর ফারদিন নূর পরশকে হত্যা করে লাশ গুম করার অভিযোগে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বান্ধবি বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে তিনি স্থায়ী জামিনে রয়েছেন।

এনআর/এমজে