ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন

দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা এবং তার বিরুদ্ধে মামলার সমালোচনা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তিনি রোজিনাকে হেনস্তাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৮ মে) বিকেলে ফেসবুক লাইভে এসে ব্যারিস্টার সুমন এ আহ্বান জানান। এসময় তিনি বলেন, ‘যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে করোনা শুরুর সময় থেকে আমরা বারবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করে আসছি, এ মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ একটি ব্যর্থ মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ের বেশিরভাগ কর্মকর্তা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। এ মন্ত্রণালয়ের নথি চুরির অভিযোগ তো বুঝতেই পারেন। আরও বড় কথা হচ্ছে সাংবাদিক রোজিনা যদি চুরি করেও থাকে আপনারা তার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন, পুলিশে দিতে পারেন। কিন্তু আপনারা নিজেরা আইন হাতে তুলে নিলেন। সাংবাদিক বাদই দেন, তিনি তো একজন নারী। নারী হিসেবে তো সম্মানটা দেখাতে পারতেন। তা না করে আইন হাতে তুলে নিলেন। আপনাদের বিচার করার মতো মানুষগুলো কই।’

আরও পড়ুন: রোজিনার মতো অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা কী করেন?

ব্যারিস্টার সুমন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘মনে রাখবেন, রোজিনারা আজকে হয়তো দুর্বল। কিন্তু বেশিদিন এরা দুর্বল থাকবে না। আপনারা যে ক্ষমতা দেখাচ্ছেন, তা বেশিদিন থাকবে না। একজন অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি জেবুন্নেসা, ওনার বিষয়ে ফেসবুকে তো নানা কথা আসছে। এগুলো মুখে আনতে চাই না। একজন নারী হয়ে আরেকজন নারীকে যেভাবে অপদস্থ করলেন এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমি মনে করি, এই নারী সাংবাদিককে অপমান করার মধ্যে দিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানকে খাটো করেছেন। নারীদেরকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর যে চেষ্টা। সেই চেষ্টাতে আপনারা কালিমালেপন করেছেন।’

আরও পড়ুন: অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, রোজিনা ইসলাম ও আইনি পর্যবেক্ষণ

তিনি বলেন, ‘আমি জানি, আপনারা এত তাড়াতাড়ি পিছপা হবেন না। কারণ আপনাদের সিন্ডিকেট অনেক শক্তিশালী। সাংবাদিকদের চেয়ে আপনারা অনেক বেশি শক্তিশালী। কারণ আপনারা তো অনেক টাকা বানিয়ে ফেলেছেন। আজকেও তো দেখলাম সুইস ব্যাংকে হাজার হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশের আছে। এসব নিয়ে গোপন নথি কখনো প্রকাশ হতে দেখি না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান, সাংবাদিক রোজিনাকে হেনস্তাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করুন। সাংবাদিকদের মনে এত কষ্ট দেবেন না। সাংবাদিকরাই বাংলাদেশকে এখন পর্যন্ত বাঁচিয়ে রেখেছেন।’

এমএইচডি/এফআর/জেএস