অর্থ পাচারের মামলায় ফরিদপুরের আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই মো. ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।  

আজ (সোমবার) বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই সপ্তাহের এ রুল জারি করেন। 

সাজ্জাদ হোসেন বরকত ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক এবং ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি।  

আদালতে আজ দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুল আলম কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।  

ফরিদপুরে শহরে একসময়ে দাপট দেখিয়েছেন আলোচিত এ দুই ভাই। দুজনই সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচয় ছিল। অভিযোগ রয়েছে, এই ঘনিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে তারা চাঁদাবাজি, জমি দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। 

সিআইডি পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ এই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে গত বছরের ২৬ জুন রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি করেচিলেন। মানি লন্ডারিংয়ের ওই মামলায় দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

গত বছরের ১৬ মে রাতে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মোল্লা বাড়ি সড়কে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলা হয়। ১৮ মে সুবল সাহা এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা করেন। ৭ জুন রাতে এ মামলার আসামি হিসেবে প্রথমে বরকত ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেসহ বেশ কয়েকটি মামলা হয়। এবসব মামলায় তাদের কয়েক দফায় রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে। 

এমএইচডি/এনএফ