সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ক্যান্টিনগুলোতে গরুর মাংস রান্না ও বিক্রি করার অনুমতি প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রিট পিটিশনটি দায়ের করেন আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।

রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিব এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদককে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটে বলা হয়েছে, আইনজীবীরা তাদের পেশাগত কাজে সাধারণত সকাল ৮টা ৩০ থেকে বিকাল ৫টা ৩০ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবস্থান করেন‌। ফলশ্রুতিতে অধিকাংশ আইনজীবীদের সুপ্রিম কোর্টের ক্যান্টিনগুলোতে সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার এবং বিকালের নাস্তা করতে হয়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ক্যান্টিনগুলোতে গরুর মাংস রান্না ও বিক্রি করা হয় না। সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের অবৈধ ও অসাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞার কারণে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ক্যান্টিনগুলো গরুর মাংস রান্না ও বিক্রি করতে পারে না।

রিট পিটিশনে আরও বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের অধিকাংশ আইনজীবীরা ইসলাম ধর্মের অনুসারী। অপরদিকে ইসলাম ধর্মাবলম্বী আইনজীবীদের মধ্যে অধিকাংশই আইনজীবী তরুণ। অপরদিকে গরুর মাংস ইসলাম ধর্মাবলম্বী মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার। প্রতিবছর ঈদুল আজহায় বাংলাদেশে কোটি কোটি গরু কোরবানি করা হয়। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন সম্পূর্ণ অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের ক্যান্টিনগুলোতে গরুর মাংস রান্না ও বিক্রি করতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ফলশ্রুতিতে সুপ্রিম কোর্টের আপামর মুসলিম ধর্মাবলম্বী আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের ক্যান্টিনগুলোতে গরুর মাংস খেতে পারছে না। 

রিটে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ক্যান্টিনগুলোতে গরুর মাংস রান্না ও বিক্রি করতে বাধা দেওয়ার মাধ্যমে মুসলিম ধর্মাবলম্বী আইনজীবীদের বৈধ খাদ্য গ্রহণে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সংবিধানের মৌলিক অধিকার ৩২ এর অধীনে “জীবনের অধিকারে” হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ক্যান্টিনগুলোতে গরুর মাংস রান্না ও বিক্রি করার ওপর নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক।

এমএইচডি/এমজে