প্রতীকি ছবি

রাজধানীর বাড্ডায় সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করার খোঁজ নিতে গিয়ে ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনির শিকার হয়ে নিহত তাসলিমা বেগম রেনু হত্যা মামলায় সবজি বিক্রেতা ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর আসামি, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন ও আসাদুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। 

রায় ঘোষণার আগে আসামিরা আদালতে হাজির হন। সঙ্গে আসেন স্বজনরা। মামলার একমাত্র নারী আসামি রিয়া বেগম তার দুই ছেলেকে নিয়ে আদালতে হাজির হন। বড় ছেলের বয়স ১০ বছর আর ছোট ছেলের বয়স দুই বছর। তবে তার স্বামী আসেননি। রায় শেষে মাদ্রাসা পড়ুয়া বড় ছেলেকে অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে রিয়া বেগম বলেন,‌‌ ‌‘তোমার আব্বুকে ফোন দিয়ে কও রায় দিয়ে দিছে। আমি জেলে চলে যাচ্ছি। মা কী জিনিস এখন বুঝবা। আগে তো মারছি। এখন আর মারব না, থাকবও না।’ 

এক প্রশ্নের জবাবে রিয়া বলেন, ‘আমি এ ঘটনায় জড়িত না, এটা কেউ এখন বিশ্বাস করবে না।’ 

পরে তাকে আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে করে নিয়ে যান ছোট ছেলেকে।

এদিকে আসামি হৃদয়কে আদালত থেকে নামানোর সময় সে অস্বাভাবিক আচরণ করে। কারাগারে যেতে চাচ্ছিল না। বোনের উদ্দেশে বলতে থাকে, ‘আমার তো ফাঁসি হয়ে গেছে। আজই ফাঁসি দেবে।’

তখন তার বোন বলেন, ‘না ভাই তুই এসব করিসনি।’ 

এ সময় পাশ থেকে আইনজীবীরা তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, ‘হাইকোর্ট থেকে জামিন হয়ে যাবে।’ 

তখন অন্য দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের স্বজনদের কান্নাকাটি করতে দেখা যায়।

এনআর/এসকেডি