বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে রাজধানীর পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। এর আগে, খিলগাঁও থানার চার মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। 

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান তার জামিন মঞ্জুর করেন। গ্রেপ্তার হওয়া সব মামলায় জামিন পাওয়ায় তার মুক্তিতে আর বাধা থাকল না। 

দুই বছর আগে বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানে গুলিতে মকবুল নামের বিএনপির কর্মী নিহতের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে যাওয়া সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীকে আজ আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাসান আসামি সাবের হোসেনের রিমান্ড শেষ না করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। 

আবেদনে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে সাবের হোসেন চৌধুরী কোনো প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারছেন না। কথোপকথনে জানা গেছে যে, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ও হৃদরোগে আক্রান্ত। তার হার্টে তিনটি রিং পরানো হয়েছে। বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতিতে পুলিশ হেফাজতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আশানুরূপ তথ্য পাওয়া যাবে না। তাই আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পাঁচ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ না করে আদালতে প্রেরণ করা হলো। ভবিষ্যতে আসামির সুস্থতা সাপেক্ষে পুনরায় পুলিশের পক্ষ থেকে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী তার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তার জামিনের বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে, খিলগাঁও থানার চার মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান। 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তার হওয়া সব মামলায় জামিন পাওয়ায় সাবের হোসেনের কারামুক্তিতে বাধা নেই। যেহেতু তিনি আদালতের হাজতখানায় রয়েছেন, এখান থেকেই জামিনে মুক্ত হবেন।

এর আগে, গতকাল তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানে গুলিতে মকবুল নামের বিএনপি কর্মী নিহতের মামলায় তাকে রিমান্ডে পাঠানো হয়। রিমান্ড শুনানি শেষে এজলাস থেকে হাজতখানায় যাওয়ার সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর প্রটোকল ভেঙে তার ওপর ডিম নিক্ষেপ ও হামলা চালায় বিএনপির নেতাকর্মীরা।

এনআর/কেএ