প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, নেতৃত্বের মূল লক্ষ্য ক্ষমতার চর্চা নয়, বরং সমাজের বৃহত্তর কল্যাণে অন্যের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করার মানসিকতাই সঠিক নেতৃত্বের পরিচায়ক।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বরিশাল ক্যাডেট কলেজ মিলনায়তনে ক্যাডেটদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক ভাষণে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।

ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, বিভিন্ন সময়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীগণ জাতীয় জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার মাধ্যমে এ প্রজন্মের তরুণ শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে চলেছেন। তাই ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীসহ দেশের সব শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা, অধ্যবসায় ও একাগ্রতার নিবিড় চর্চার মাধ্যমে সমাজের সব পর্যায়ে সমতাপ্রতিষ্ঠা ও মানুষের অধিকারের রক্ষায় নিজেদের নিয়োজিত থাকতে হবে।

প্রধান বিচারপতি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সুদক্ষ নেতৃত্ব তৈরিতে বরিশাল ক্যাডেট কলেজের বিগত দিনের সফলতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং এ কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের অগ্রজদের দেখানো পথ ধরে দেশ ও সমাজের সেবায় নিজেদের প্রস্তুত করবে। 

‘বিশেষ করে, আধুনিকতার অভিঘাতে আমরা জাতীয় অগ্রগতির পথে যেসব প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছি, দেশের ভবিষ্যতের নেতৃত্ব হিসেবে তা মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের নিজেদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’

তিনি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আইনের শাসন নিশ্চিত করার তার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তারই অংশ হিসেবে দেশের বিচার ব্যবস্থায় সাধারণ মানুষের অভিগম্যতা নিশ্চিতকল্পে ই-জুডিশিয়ারি বাস্তবায়নের বাস্তব প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আগামী দিনগুলোতে আমাদের শিক্ষার্থীগণ বিচার ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও তার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে এবং বিচার প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ করবে ও জবাবদিহিতামূলক করতে ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— বরিশাল ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল রায়হান আহমেদ পিএসসি, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. হাসানুজ্জামান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) এসকে.এম. তোফায়েল হাসান, স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন ও  প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব শরীফুল আলম ভূঁঞা।

এমএইচডি/এমএ