বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ে গুলিতে ধানমন্ডির জিগাতলায় আবদুল মোতালিব নামে এক কিশোর নিহতের মামলায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

লালবাগ বিভাগের সাবেক এই ডিসি আদালতকে জানান, তাকে গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে মামলার রিমান্ড শুনানিতে এ কথা বলেন তিনি।

এদিন রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর ধানমন্ডি থানার মামলায় তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক নজরুল ইসলাম। অপরদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে।

পরে মশিউর রহমানের বক্তব্য শোনেন আদালত। এ সময় তিনি বলেন, আমি তো ফিল্ডে ছিলাম না। আবরার হত্যা মামলায় রহস্য উদঘাটন করেছি। ছাত্রলীগ নেতাদের অস্ত্রসহ ধরেছি। ঢাকার কমার্স কলেজে শিক্ষকতা দিয়ে আমার চাকরি জীবন শুরু হয়েছে। এর আগে আমাকে গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

শুনানি শেষে আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানী থেকে মশিউর রহমানকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে ২০ সেপ্টেম্বর নিউমার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে থাকা আবদুল মোতালেব নামের এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। পরবর্তীতে ২৬ আগস্ট তার বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭৬ জনকে আসামি করা হয়।

এনআর/এমজে