আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি দবিরুল ইসলাম ও তার ছেলের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের শত বিঘা জমি দখল ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকে আবেদন জানানো হয়েছে।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. সারোয়ার হোসেন এ আবেদন করেন। 

আবেদনে বলা হয়, ঠাকুরগাঁও-২ আসনের এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর দবিরুল অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন। এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে মাজহারুল ইসলাম সুজনের বিরুদ্ধে নির্যাতন-নিপীড়ন ও সংখ্যালঘুদের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। 

এর মধ্যে দিনাজপুরের বালিয়াডাঙ্গীর পাড়িয়া ইউনিয়নে রনবাগ ইসলাম টি এস্টেট কোম্পানি লিমিটেড নামের একটি চা বাগান গড়ে তুলেছেন দবিরুল। ১০৬ একর আয়তনের ওই বাগানের মাঝখানে স্থানীয় অকুল চন্দ্র সিংয়ের ২১ বিঘা, ভাকারাম সিং ও জনক চন্দ্র সিংয়ের ২৭ বিঘা, থোনরাম সিংয়ের ২৪ বিঘা, ক্ষুদনলালের ২৪ বিঘাসহ ১০ পরিবারের চা বাগান ও আবাদি জমি আছে। 

অভিযোগ রয়েছে, এসব জমি দখলের চেষ্টা করছেন দবিরুল ও তার ছেলে। এর জন্য জমির মালিকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

আবেদনে বলা হয়, গত ১৯ জুন সুজনের নেতৃত্বে টি এস্টেট কোম্পানির তত্ত্বাবধায়ক একরামুল হকসহ বেশ কয়েকজন অকুল চন্দ্র সিং, ডাকারাম সিং ও জনক চন্দ্র সিংয়ের ওপর হামলা চালান। তাঁরা চা বাগানের জমি সুজনের নামে লিখে দেওয়ার জন্য জোর করে স্ট্যাম্পে অকুল চন্দ্রের স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করেন। 

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনেও দবিরুল ও তার ছেলের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের জমি দখল ও নির্যাতনের বিষয়টি উঠে আসে। দবিরুল ও তার ছেলে শুধু দুর্নীতি নয় বরং সংখ্যালঘুসহ অন্যান্যদের সম্পত্তি দখল করে সীমাহীন দুর্নীতি করেছেন। 

এমএইচডি/এমএসএ