সংগৃহীত

শ্লীলতাহানির অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আদালতে আসেন তিনি। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক শাহিনা হক সিদ্দিকা আদালতে তার সাক্ষ্যের জন্য দিন ধার্য ছিল। এ মামলায় গত ২৯ নভেম্বর পরীমণির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। তবে সেদিন তার জবানবন্দি শেষ হয়নি। দীর্ঘদিন পর আজ তিনি আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেন। দুপুর ২টার দিকে সাক্ষ্য দিতে বিচারকের খাসকামরায় প্রবেশ করেন তিনি। বিকেল সাড়ে ৩টায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

এরপর আসামিপক্ষ জেরার জন্য সময় আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে আগামী ২২ জানুয়ারি জেরার দিন ধার্য করেন৷

পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ মামলার তিন আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহিদুল আলম এদিন আদালতে হাজির ছিলেন। খাসকামরায় সাক্ষ্যগ্রহণের সময় দুই আসামি ও উভয় পক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত বছরের ১৯ এপ্রিল নাসির ও অমির পক্ষে এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। অন্যদিকে অব্যাহতির আবেদনের বিরোধিতা করে বাদীপক্ষ। এছাড়া অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর ১৮ মে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

২০২১ সালের ১৪ জুন নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে ঢাকার সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন পরীমণি।

তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন। অপর দুই আসামি হলেন-তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম। এরপর গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৮ জুন রাতে ঢাকার অদূরের বিরুলিয়ার ঢাকা বোট ক্লাবে যান পরীমণি। সেদিন রাতে সেখানে তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তিনি। পরে ১৪ জুন নাসির ও অমি ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও চারজনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।

এনআর/এসকেডি