সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি ১২ দফা সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত সহকারী রেজিস্ট্রার থেকে তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের কনফারেন্স কক্ষে এ নির্দেশনা দেন।

এ নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে সেবা নিশ্চিতকরণ, দায়িত্ব পালনকালে কোনোরূপ আর্থিক লেনদেন বর্জন, সেবা প্রদানে অহেতুক বিলম্ব পরিহার, সেবাগ্রহীতার প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ প্রদর্শন, প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন নিষ্পন্নকরণ, কর্মকর্তাদের প্রতিদিন শাখা পরিদর্শন, ব্যতিক্রমহীনভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

বিশেষ করে, প্রত্যেক শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার ও ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে তাদের শাখার কার্যক্রম সম্পর্কে স্ব স্ব অতিরিক্ত রেজিস্ট্রারকে নিয়মিত অবহিত করা ও অতিরিক্ত রেজিস্ট্রাররা প্রতি চার সপ্তাহ পর পর তাদের মনিটরিং কার্যক্রম সম্পর্কে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার এবং রেজিস্ট্রারকে (বিচার) রিপোর্ট দিতে নির্দেশনা দেন প্রধান বিচারপতি।  

বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্টে আগত বিচারপ্রার্থীদের উন্নত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তাদের দাপ্তরিক কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট রুলস, বিভিন্ন সময়ে জারিকরা প্র্যাকটিস ডাইরেকশন, সার্কুলার ও অন্যান্য নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

বিচারসেবা প্রত্যাশী জনসাধারণ ও তাদের নিযুক্ত আইনজীবীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার ও উন্নত সেবা দেওয়ার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট সেবা প্রদানের উৎকর্ষতায় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ তৈরি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ৩৮টি শাখা ও আপিল বিভাগে ১৯টি শাখা রয়েছে। একজন রেজিস্ট্রার জেনারেল, তিন জন রেজিস্ট্রার, চার জন অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার, একজন স্পেশাল অফিসার, ১২ জন ডেপুটি রেজিস্ট্রার, ২০ জন সহকারী রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন কোর্ট ও শাখায় মোট ২৫০০ কর্মকর্তা-কর্মচারি সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত রয়েছেন।

এমএইচডি/এসএম