ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলার অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল কবির চৌধুরীর আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল কুমিল্লার বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। মামলার বাদী ছিলেন বাঙ্গরা বাজার থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও গাজীপুর উত্তরপাড়ার মনিরুল হকের ছেলে রাসেল মিয়া।

আদালত সূত্র জানায়, মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ৯ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তৎকালীন বাঙ্গরা বাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রনি চৌধুরী। এতে তিনি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(২), ২৮(২), ২৯(১) ও ৩১(২) ধারার অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেছিলেন। অভিযোগপত্রে এসআই রনি নুরের বিরুদ্ধে আদালতে বিচারের আবেদন করেন। 

আদালতে রনি চৌধুরীর দেওয়া অভিযোগপত্র গৃহীত হয়। একপর্যায়ে পুলিশের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। তাতেও আদালতে হাজির হননি নুর। পরবর্তীতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তার বিরুদ্ধে বিচার শুরুর জন্য অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল আজ (বুধবার)। যদিও এদিন মামলার বাদী এবং আসামি কেউ হাজির হননি।

চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, কুমিল্লার বাঙ্গরা বাজার থানায় দায়ের হওয়া মামলাটিতে আজ (বুধবার) আদালতে অভিযোগ গঠনের দিন রাষ্ট্রপক্ষ হাজির ছিল। তবে আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মতো কোনো উপাদান পাননি। তাই একমাত্র আসামি নুরকে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। যদিও মামলার শুরু থেকে এ পর্যন্ত আদালতে উপস্থিত ছিলেন না নুর। এক্ষেত্রে আদালতের এখতিয়ার রয়েছে।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল বিকেলে ফেসবুক লাইভে নুরুল হক নুরের দেওয়া বক্তব্য আপত্তিকর উল্লেখ করে মামলাটি করেছিলেন বাদী রাসেল মিয়া। ওই লাইভে নুরুল হক নুর বলেছিলেন, কোনো মুসলমান আওয়ামী লীগ করতে পারে না। যারা এই আওয়ামী লীগ করে তারা চাঁদাবাজ, ধান্ধাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, চিটার-বাটপার- এই ধরনের মুসলমান। শুক্রবার একদিন নামাজ পড়তে যাবে, আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের কোনো খবর নেই।

লাইভে আরও বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের উগ্রবাদীরা আলেম-ওলামাদের নিয়ে যেভাবে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে, তাদের চরিত্র হরণ করছে, এরা মুসলমান হতে পারে না। এদের কোনো ইমান নেই।

এমআর/এসকেডি