বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে চার জনের মৃত্যুর অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে চারটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনরা মামলাগুলো করেন। আদালত যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশকে অভিযোগগুলো এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

চার মামলায় শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরকে আসামি করা হয়েছে।

শরীফ হত্যা : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর  যাত্রাবাড়ী থানার সামনে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সাইফ আরাফাত শরীফকে হত্যার অভিযোগে তার মা মরিয়ম ৯৪ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন। উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, শামীম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ১৪ আগস্ট ভোরে যাত্রাবাড়ী থানার সামনে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকালে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সমন্বয়ক সেজে তিন জনকে ছাত্রকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে।

ইয়াসিন হত্যা : একই ঘটনায় সাইদুল ইসলাম ইয়াসিনের মৃত্যুর ঘটনায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহতের তার মা শিল্পী আক্তার।

ওবায়দুল হত্যা : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে ওবায়দুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৫৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন স্বজন মো. আলী।

উল্লেখযোগ্য অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাছান মাহমুদ, রমেশ চন্দ্র সেন দ্রুপদি আগরওয়ালা, আছাদুজ্জামান হারুন-অর-রশীদ।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রোল পাম্পের সামনে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ ১৪ দলের নেতাকর্মীরা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে হাজার হাজার জনতার ওপর গুলি চালায়। এতে ওবায়দুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

রাসেল হত্যা : ৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাজলা ফুটওভার ব্রিজের কাছে গুলিতে রাসেল মারা যান। এ ঘটনায় তার ভাই রুবেল শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, মশিউর রহমান মোল্লা সজল। চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, হারুন-অর-রশীদ।

এনআর/এমএ