ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খাইরুল হকের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলার আবেদন করা হয়েছে। বিচারক হিসেবে ‘দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলক’ভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে বেআইনি রায় প্রদান ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে দণ্ড বিধির ২১৯ ও ৪৬৬ ধারায় এ মামলার আবেদন করা হয়।

রোববার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম এই মামলার আবেদন করেন। শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাজিরুর রহমান ডিউটিতে না থাকায় এসআই মাইনুল মামলার আবেদনটি গ্রহণ করেন। 

মামলার আবেদনে মোজাহিদুল উল্লেখ করেন, বিচারপতি খায়রুল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায় প্রভাবিত হয়ে এবং তার অবসর পরবর্তী ভালো পদায়নের লোভের বশবর্তী হয়ে দুর্নীতিমূলকভাবে শেখ হাসিনাকে খুশি করার অভিপ্রায়ে ২০১১ সালের ১০ মে সংক্ষিপ্ত আদেশটি পরিবর্তন করে বেআইনিভাবে ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর উক্ত আপিল মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন।

আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী বলেন, আসামির বেআইনি রায়ের দরুন সারা দেশের ভোটারদের অধিকার হরণ করা হয়েছে এবং উক্ত অবৈধ রায়ের কারণে শেখ হাসিনা পরপর তিনবার অবৈধভাবে সরকার গঠন করার সুযোগ পায় এবং দেশে অরাজকতা কায়েম করে।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার এসআই মাইনুল বলেন, সাবেক বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে মো. মোজাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি এজহারের কপি আমরা পেয়েছি। আমরা সেটিকে গ্রহণ করেছি এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রসঙ্গত, এ বি এম খায়রুল হক ২০১০ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের ১৭ মে পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই তাকে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়।

কেএইচ/এমএ