অর্থ আত্মসাৎ : ৩ ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৪ জনের কারাদণ্ড
চার কোটি ২০ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের মামলায় সোনালী ব্যাংকের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ চার জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সোনালী ব্যাংকের বায়তুল মোকাররম শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার আজহার হোসেন ও জহিরুল হক চৌধুরী, ক্যাশ অফিসার নাজিম উদ্দিন এবং মানিক মিয়া।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (৩১ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
এদের মধ্যে চার জনকে এক ধারায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং সাড়ে ৬ কোটি টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরেক ধারায় নাজিম উদ্দিন, জহিরুল হক ও আজহার হোসেনকে আরও পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বিধায় তাদের পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে অর্থদণ্ডের টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাংলাদেশ ব্যাংকের চালানের মাধ্যমে জমা দিয়ে ওই কপি আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। ব্যর্থতায় তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ থেকে আদায় করতে পারবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে নাজিম উদ্দিন ও মানিক মিয়া রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। অপর দুই আসামি পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ১৯৯৮ সালের ১ এপ্রিল সোনালী ব্যাংকের বায়তুল মোকাররম শাখার সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক এ এস এম আব্দুল মতিন আনসারী মতিঝিল থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, আসামিরা ১৯৯৮ সালের ৩১ মার্চ যেকোনো সময় বা এর আগে আসামিরা চার কোটি ২০ লাখ সাত হাজার ৪২০ টাকা আত্মসাৎ করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০০৯ সালের ২১ জুন দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কাশেম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১০ সালের ২৬ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
এনআর/এসএ