প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, বিচার বিভাগের ডিজিটাইজেশন, বিচার সেবা প্রাপ্তি সহজিকরণ তথা বিচার বিভাগের আধুনিকায়নের লক্ষ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদি বিচার বিভাগীয় পরিকল্পনা প্রণয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন অডিটোরিয়ামে ‘বৃহত্তর ময়মনসিংহ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী কল্যাণ সমিতি’ প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতিরা, সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, এটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা, সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সদস্যরা।

প্রধান বিচারপতি এ আয়োজনের জন্য বৃহত্তর ময়মনসিংহ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী কল্যাণ সমিতিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিচার সেবার মানোন্নয়নে কোনো পরামর্শ লিখিত আকারে সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির মাধ্যমে দেওয়া হলে তা বিবেচনায় নেওয়া হবে। যা দীর্ঘমেয়াদি জুডিশিয়াল প্লান প্রস্তুতে সহায়ক হবে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনজীবীদের একইসঙ্গে বিচারপ্রার্থী জনগণ, ন্যায় বিচার নিশ্চিতে ও দেশের সার্বিক কল্যাণের প্রতি কমিটমেন্ট থাকতে হবে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামোয় আইনজীবীদের সমাজের ভ্যানগার্ড রূপে গণ্য করা হয়। 

প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের স্বতন্ত্র জাতিসত্তা বিনির্মাণের ইতিহাসে ময়মনসিংহ অঞ্চল একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। ময়মনসিংহ অঞ্চলে জন্ম নেওয়া দেশের রাজনীতি, সাহিত্য, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন অঙ্গনে যারা কৃতিত্ব রেখে গেছেন তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধান বিচারপতি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বার ও বেঞ্চ উভয়ের সমন্বয়ে বিচার বিভাগ। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় উভয়ে উভয়ের পরিপূরক, প্রতিপক্ষ নয়। কোর্ট অফিসার হিসেবে আইনজীবীদের প্রাথমিক কর্তব্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইনের বিধি-বিধানের প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শন করে আদালতকে সহযোগিতা করা।

এমএইচডি/এসএম