নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমানের (রাসেল) অবস্থান জানিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শককে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে আটক করে রাখা কেন অবৈধ ও বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

এর আগে গত ১০ জুলাই নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমানের (রাসেল) সন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাস (সশরীরে হাজির কর) রিট দায়ের করা হয়।

নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা আতিকুরের বাবা আবুল হোসাইন সরদার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।

৯ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে ‘আট দিন ধরে নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা আতিক’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন যুক্ত করে রিটটি দায়ের করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আট দিন আগে নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমানের (রাসেল) খোঁজ পাওয়া যায়নি এখনো। তার পরিবার সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ, হাসপাতাল, র‍্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা—সব জায়গায় খোঁজ নিয়েছে। কোথাও তার হদিস নেই।

তবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেছেন, আতিককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে। তিনি গোয়েন্দা হেফাজতে আছেন।

রাজধানীর পুরান ঢাকার আজিমপুর অগ্রণী স্কুলের সামনে থেকে ১ জুলাই আতিকুর রহমান নিখোঁজ হন। গত আট দিনে আতিকের সন্ধানে তার বাবা, দুই বোন পাগলপ্রায়। নিখোঁজ আতিকুর রহমান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এবং ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহসভাপতি। হঠাৎ করে কেন তার এই নিরুদ্দেশ, তা নিয়ে সংগঠনে চলছে নানা আলোচনা।’

এমএইচডি/এসকেডি