ধর্ষণ মামলার দুই আসামিকে জামিন না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন এ দুই আসামি। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী রওশন আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলে এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

এ দুই আসামি হলেন, নরসিংদীর মাধবধীর দীঘিরপাড় গ্রামের মো. কামালের ছেলে মেহেদী (২০) ও একই গ্রামের আ. গাফফারের ছেলে সুজন (২১)।  

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলে এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, দুই আসামি বয়সে কিশোর। কিন্তু ভুক্তভোগীর জবানবন্দি বিবেচনায় নিয়ে আদালত আসামিদের জামিন না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, আসামিরা ভুক্তভোগীর প্রতিবেশী। গত বছর ৭ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে ছোট বোনকে খুঁজতে প্রতিবেশী সুজনদের বাড়ি যায় ভুক্তভোগী। তখন সুজন ভুক্তভোগীকে বলে তার ছোটো বোন ঘরে আছে। ছোট বোনকে আনতে ভুক্তভোগী সুজনদের ঘরে ঢুকতেই আগে থেকে ওই ঘরে থাকা মেহেদী ঘরের দরোজা বন্ধ করে দেয়। পরে সুজনও ঘরে ঢুকে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে। আসামিরা মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেহেদী ও সুজন এরপর আরও পাঁচ-ছয়বার ধর্ষণ করে।  

চলতি বছর ১৫ মার্চ ভুক্তভোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মেডিকেল পরীক্ষায় ধরা পড়ে ভুক্তভোগী অন্তঃসত্ত্বা। পরে গত ৫ এপ্রিল মেহেদী ও সুমনসহ ৬ জনকে আসামি করে নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা। মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯(৩) ধারায় গণধর্ষণের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। এ মামলায় আগাম জামিন নিতে আজ হাইকোর্টে এসেছিলেন মেহেদী ও সুজন।  

এমএইচডি/এসকেডি