মুনিয়া-আনভীরের কল রেকর্ডের ফরেনসিক চেয়ে নোটিশ
কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান ওরফে মুনিয়ার সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের কল রেকর্ড ফরেনসিক পর্যালোচনার জন্য আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। স্বরাষ্ট্র সচিব বরাবর সোমবার (৩ মে) নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে কল রেকর্ডটি ভাইরাল হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান ও মোসারাত জাহান মুনিয়ার মধ্যে কথোপকথনের একটি রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। ওই কল রেকর্ডে সায়েম সোবহান যেসব শব্দ ভিকটিম মুনিয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছেন, তা যেকোনো নারীর জন্য অত্যন্ত অপমানজনক। উল্লিখিত কল রেকর্ড ফরেনসিক পর্যালোচনার জন্য এবং যদি ফরেনসিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, ওই অশ্লীল শব্দ প্রয়োগকারী ব্যক্তি সায়েম সোবহান আনভীর, তাহলে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’
বিজ্ঞাপন
সোমবার (৩ মে) এই নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান। তিনি বলেন, ‘নোটিশের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে’।
গত ২৬ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা হয়। মামলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনেন মোসারাতের বোন নুসরাত জাহান।
মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে একমাত্র আসামি করা হয়।
মামলার পরদিন অর্থাৎ ২৭ এপ্রিল সায়েম সোবহান আনভীরের বিদেশযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করে পুলিশ। ওই আবেদন সেদিনই মঞ্জুর করেন আদালত।
২৮ এপ্রিল হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন আনভীর। কিন্তু আবেদনের ওপর শুনানি করেননি সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চ।
২ মে মুনিয়ার ভাই আশিকুর রহমান মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা নিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন। তবে তিনি আনভীরকে নয়, আসামি করতে চেয়েছেন চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য সামশুল করিম চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনকে। আদালতের নির্দেশে এই মামলা গ্রহণ স্থগিত আছে।
এমএইচডি/এমএআর/জেএস