বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারে অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার মায়ের শেষকৃত্যে অংশ নিতে ১৪ দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন। প্যারোলে (অন্তর্বর্তী জামিন) মুক্তি পাচ্ছেন তার ভাই এবং এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত প্রাণেশ হালদারও।

বর্তমানে তারা কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারে বন্দি রয়েছেন। সূত্র জানিয়েছে, বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যার দিকে তারা ছাড়া পেতে পারেন।

মায়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার জন্য মানবিক কারণে পি কে হালদার ও প্রাণেশ হালদারের পক্ষে গত ৩ জুন ১৫ দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন তাদের আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না। এর বিরোধিতা করে মাত্র চারদিনের প্যারোলের দাবি জানান ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী। মঙ্গলবার ফের তার শুনানি ছিল।

এদিন দুপক্ষের আইনজীবীদের কথা শোনার পর কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিশেষ ইডি কোর্ট-১’র বিচারক প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় তাদের দুই ভাইকে ১৪ দিনের অন্তর্বর্তী জামিন দেন।

এ প্রসঙ্গে ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, আদালত জানিয়ে দিয়েছেন, অভিযুক্তরা প্যারোলে মুক্তি পেলেও কলকাতা পুলিশ কমিশনারেট এবং বিধান নগর পুলিশ কমিশনারেটের এখতিয়ারের বাইরে বেরোতে পারবেন না। তারা সারাক্ষণ জেল কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে থাকবেন। ১৪ দিনের প্যারোলের মেয়াদ শেষে আগামী ১৮ জুন আদালতে এসে তাদের আত্মসমর্পণ করতে হবে।

পি কে হালদারের মা প্রয়াত লীলাবতী হালদারের বিরুদ্ধেও দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন রোগে ভোগার পর গত ২৮ মে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় লীলাবতী দেবীর। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট থেকে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। আপাতত লীলাবতীর মরদেহ সংরক্ষণ করা রয়েছে কলকাতার পিস ওয়ার্ল্ডে।

কিন্তু তার দুই সন্তান এই মামলার অন্যতম দুই অভিযুক্ত পি কে হালদার এবং প্রাণেশ কুমার হালদার কারাগারে বন্দি থাকায় এখন পর্যন্ত মায়ের সৎকার সম্ভব হয়নি। ফলে হিন্দু ধর্মমতে প্রয়াত মায়ের অন্ত্যেক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আদালতের কাছে অন্তর্বর্তী জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন অভিযুক্তদের আইনজীবী।

এসএম