নিম্ন আদালতে ব্যর্থ হয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগে জামিন নিতে ঘুরছেন আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর মামলার আসামিরা। কেউ কেউ হাইকোর্টে জামিন পেতে ব্যর্থ হয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন। কেউ এক বেঞ্চে খারিজ হওয়ায় ছুটছেন আরেক বেঞ্চে। এর মধ্যে বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের জামিন শুনানিতে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় কঠোরভাবে ভর্ৎসনা করেছেন আপিল বিভাগ।

একের পর এক জামিন আবেদন করে যাচ্ছেন আলোচিত মিতু হত্যা মামলার আসামি সাবেক এসপি বাবুল আক্তার। রানা প্লাজা ধস ও হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার প্রধান আসামি ভবনটির মালিক সোহেল রানা এবং প্রতারণা মামলার আসামি মোহাম্মদ সাহেদও ঘুরছেন উচ্চ আদালতে। এছাড়া জামিনপ্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর মামলার এক ডজন আসামির জামিন আবেদনের শুনানি হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের প্রবল বিরোধিতার কারণে অধিকাংশই জামিন পাননি। কেউ কেউ জামিন না পেয়ে আবার নতুন করে আবেদন করেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, আদালতে আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে যেন চাঞ্চল্যকর ও ভয়ংকর মামলার আসামিরা জামিনে বের হতে না পারেন সে বিষয়ে তারা সতর্ক রয়েছেন।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর মামলার আসামিদের ক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করি সরকারের বক্তব্য আদালতের সামনে তুলে ধরার। মামলার বিষয়বস্তু ও সঠিক তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরি। মিথ্যা তথ্য দিয়ে বা আদালতকে ভুল বুঝিয়ে প্রকৃত অপরাধীরা যেন জামিন না পান সে বিষয়ে আমরা সতর্ক ও তৎপর রয়েছি।’

হাইকোর্টের একটি ফৌজদারি বেঞ্চের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ‘আসলে চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি, বিশেষ করে বড় বড় মাদক কারবারিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেওয়ার জন্য খুবই তৎপর থাকে। কারণ, এসব অপরাধীদের একটা অর্থনৈতিক শক্তি থাকে। সে কারণে তারা বারবার আদালতে আসে এবং জামিন পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। এসব অপরাধী অনেক সময় বড় বড় আইনজীবী নিয়োগ করে। আবার অনেক সময় দেখা যায় এমন সব আইনজীবী নিয়োগ করে তারা আদালতকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করে। তবে, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ অত্যন্ত তৎপর ও সচেতন রয়েছি।’

বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে আদালতে হাজির করা হয়েছে / ফাইল ছবি

জামিন নিতে তৎপর বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জি কে শামীম

বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জি কে শামীম সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিন নিতে তৎপর হয়ে উঠেছেন। দ্রুত জামিন পেতে তার আইনজীবীরা প্রতারণারও আশ্রয় নিয়েছেন। গত ২৯ এপ্রিল জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় আইনজীবী নিখিল কুমার সাহাকে এক সপ্তাহ মামলা পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে অর্থপাচারের মামলায় জি কে শামীমের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন আদালত। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আট বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগের মামলায় ঢাকার একটি আদালত জি কে শামীমকে গত বছরের ১৭ জুলাই ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন জি কে শামীম। পাশাপাশি তিনি জামিন আবেদন করেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। কিন্তু জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে চেম্বার আদালত তা স্থগিত করে দেন।

‘পরে জি কে শামীমের আইনজীবী নিখিল কুমার সাহা জামিনের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য আপিল বিভাগে মেনশন স্লিপ জমা দেন। ফলে স্বাভাবিকভাবে জি কে শামীমের মামলাটি কার্যতালিকায় আসার কথা ছিল। কিন্তু সেদিন আপিল বিভাগে কার্যতালিকায় দেখা যায় মামলাটি সরাসরি আদেশের জন্য ৪ নম্বর ক্রমিকে এসেছে। মামলাটি শুনানির জন্য এলে অস্বাভাবিকভাবে কার্যতালিকায় আদেশের জন্য থাকার বিষয়টি আপিল বিভাগের নজরে আসে। এ সময় আদালত আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করেন। তাকে আপিল বিভাগে এক সপ্তাহ মামলা পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেন।’

সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার / ফাইল ছবি

স্ত্রী হত্যা মামলার আসামি সাবেক এসপি বাবুল আক্তার

হাইকোর্টের এক বেঞ্চে জামিন না পেয়ে আরেক বেঞ্চে ছুটছেন স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার আসামি সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার। দেশের নামকরা আইনজীবীরা তার পক্ষে মামলায় লড়ছেন। সর্বশেষ গত ২৯ এপ্রিল মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সেদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান মনির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শাহনেওয়াজ।

এর আগে বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চসহ একাধিক বেঞ্চে জামিন আবেদন করে ব্যর্থ হন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার।

২০২৩ সালের ২৩ মার্চ মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত এ অভিযোগ গঠন করেন।

বাবুল আক্তারের সঙ্গে অভিযোগপত্রভুক্ত অপর ছয় আসামি হলেন— কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম ওরফে কালু ও শাহজাহান মিয়া। তাদের মধ্যে বাবুল, ওয়াসিম, শাহজাহান ও আনোয়ার কারাগারে রয়েছেন। এহতেশামুল জামিনে এবং কামরুল শিকদার মুসা ও খাইরুল ইসলাম কালু শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানমকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন (৬ জুন) বাবুল বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পিবিআইয়ের তদন্তে দেখা যায় এ ঘটনায় বাবুল নিজেই জড়িত!

রানা প্লাজা ভবনের মালিক সোহেল রানা / ফাইল ছবি

রানা প্লাজার সোহেল রানা

রানা প্লাজা ধসে পড়ে সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানার জামিন আবেদন শুনানি এখনও আপিল বিভাগে মুলতবি রয়েছে। গত বছর হাইকোর্ট সোহেল রানাকে জামিন দেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে জামিন স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। এরপর আপিল বিভাগ একাধিকবার সোহেল রানার জামিন শুনানি ‘স্ট্যান্ড ওভার‘ রাখেন। জানা যায়, সোহেল রানার আইনজীবীরা জামিন শুনানি দ্রুত করতে তৎপর রয়েছেন।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় প্রায় ১৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়। যাদের প্রায় সবাই ছিলেন পোশাক কারখানার শ্রমিক। এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার প্রধান আসামি ভবনের মালিক সোহেল রানা।

বরগুনার আদালত থেকে বের হওয়ার পর আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি / ফাইল ছবি

হাইকোর্টে আলোচিত সেই মিন্নির জামিন আবেদন

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর থেকে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। তিনি হাইকোর্টের একাধিক বেঞ্চে জামিন আবেদন করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ এপ্রিল হাইকোর্টে আবারও জামিন আবেদন করেন তিনি।

২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খাঁন হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।

মো. সাহেদ ওরফে রিজেন্ট সাহেদ / ফাইল ছবি

উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিতে তৎপর রিজেন্টের সাহেদ

রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেতে তৎপর রয়েছেন। এর মধ্যে একাধিক মামলায় মো. সাহেদ হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। তবে, আপিল বিভাগ তার জামিন আটকে দিয়েছেন।

সম্প্রতি অস্ত্র মামলায় সাহেদকে বিচারিক আদালতের দেওয়া যাবজ্জীবন দণ্ড থেকে খালাসের রায় স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ আদালত।  

মামলায় সাহেদকে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ (ক) ধারায় যাবজ্জীবন ও ১৯ (চ) ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুটি সাজা একত্রে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অস্ত্র বাজেয়াপ্ত এবং যে গাড়ি থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়, তার মালিকানা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। পরে হাইকোর্টে আপিল করেন সাহেদ।

২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এরপর তাকে নিয়ে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করে সংস্থাটি। পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় র‌্যাব অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে।

এর আগে ওই বছরের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে। পরদিন ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি বহিষ্কৃত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু / ফাইল ছবি

জামিন নিতে মরিয়া সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রধান আসামি

জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও বহিষ্কৃত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। হাইকোর্টের এক বেঞ্চে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে ছুটছেন আরেক বেঞ্চে। সর্বশেষ বাবুকে জামিন না দিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গত ২৪ জানুয়ারি মাহমুদুল আলম বাবুকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। তার জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগ ওই আদেশ দেন।

গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবুকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে লিভ টু আপিল দায়ের করার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। পরে রাষ্ট্রপক্ষ জামিন স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল দায়ের করে।

এর আগে জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবুকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিনের ওই আদেশ দেন।

গত বছরের ১৪ জুন রাতে বকশীগঞ্জের পাটহাটি এলাকার সাধুরপাড়া ইউপির বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমকে পিটিয়ে ও ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে গুরুতর আহত করেন। পরদিন ১৫ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ১৭ জুন নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় মাহমুদুল আলম বাবুসহ ২২ জনের নামে এবং আরও অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত বাবুসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এ ছাড়া রাজধানীর মতিঝিলে যুবলীগ নেতা টিপু ও প্রীতি হত্যা মামলার আসামিরা, বিভিন্ন জেলার ধর্ষণ মামলার আসামিরা এবং সারা দেশের আরও অনেক আলোচিত মামলার আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এমএইচডি/এসএম