বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় আইনজীবী নিখিল কুমার সাহাকে ১ সপ্তাহ মামলা পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। তিনি আপিল বিভাগে ১ সপ্তাহ কোনো মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন না।

একইসঙ্গে অর্থ পাচারের মামলায় জি কে শামীমের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এসময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত বছরের ১৭ জুলাই সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগের মামলায় ঢাকার একটি আদালত বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন জি কে শামীম। পাশাপাশি তিনি জামিন আবেদন করেন। গত ফেরুয়ারি মাসে হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। এই জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে চেম্বার আদালত তার জামিন স্থগিত করে দেন।

গতকাল জি কে শামীমের আইনজীবী নিখিল কুমার সাহা আপিল বিভাগে জামিনের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য আপিল বিভাগে মেনশন স্লিপ জমা দেন। এর ফলে স্বাভাবিকভাবে জি কে শামীমের মামলাটি কার্যতালিকায় আসার কথা ছিল। কিন্তু আজ আপিল বিভাগে কার্যতালিকায় দেখা যায় মামলাটি সরাসরি আদেশের জন্য ৪ নম্বর ক্রমিকে এসেছে। মামলাটি শুনানির জন্য এলে অস্বাভাবিকভাবে কার্যতালিকায় আদেশের জন্য থাকার বিষয়টি আপিল বিভাগের নজরে আসে। এ সময় আদালত আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করেন। তাকে আপিল বিভাগে এক সপ্তাহ মামলা পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেন।

এমএইচডি/এসএম