যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।

গত ৪ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে তাকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। হোয়াইট হাউসের ফেসবুক পেজে অনুষ্ঠানটি সরাসরি লাইভ দেখানো হয়।

মঙ্গলবার তার (ফাওজিয়া করিম) চেম্বারের অ্যাসোসিয়েটস সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার ফাইজা মেহরিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিশিষ্ট মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। এটা আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ বছর অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের নারীর নাম সাহসী পুরস্কারের জন্য ঘোষণা করে। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রান্তিক গোষ্ঠীর অধিকারের জন্য আইনি লড়াই করেছেন। তিনি সুনামধন্য আইনি পরামর্শ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ফাওজিয়া করিম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের প্রধান। এছাড়া ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

তিনি ব্যক্তিগতভাবে গার্মেন্টস শ্রমিকদের পক্ষে তাদের নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার মামলা দায়ের করেন।

ফাওজিয়া করিম ফিরোজ ২০০৭-২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অ্যাসিড সারভাইভারস ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।

২০২৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন যৌন হয়রানির মামলা পর্যালোচনা এবং আদালতে সুপারিশ করার জন্য ফাওজিয়া ফিরোজসহ পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে।

উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে শান্তি, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, লিঙ্গ সমতা ও সমতা এবং নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়নের পক্ষে যেসব নারী সাহস, শক্তি এবং নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন, তাদেরকে প্রতি বছর এই পুরস্কার প্রদান করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র।

এমএইচডি/এমজে