অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় আত্মসমর্পণ করতে আদালতে হাজির হবেন ড. ইউনূস। তার আত্মসমর্পণকে কেন্দ্র করে আদালতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

এসময় দেখা যায় ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রবেশমুখে মানুষের ব্যাগ তল্লাশি করে আদালতের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। এদিন আদালত প্রাঙ্গণে নিয়মিত টহল পুলিশের চেয়ে বাড়তি পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

রোববার (৩ মার্চ) সকালে তার আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তার পক্ষে জামিন আবেদন করেন।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস-সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

গত বছরের ৩০মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

১ ফেব্রুয়ারি আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। চার্জশিটে আসামি ছিল ১৩ জন। নতুন করে একজন আসামি যুক্ত হয়েছে। তিনি হলেন গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান।

চার্জশিটভুক্ত ১৪ আসামি হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।

এনআর/পিএইচ