টাঙ্গাইলের মেয়ে ব্যারিস্টার সারোয়াত সিরাজ শুক্লা। তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তার বাবা প্রয়াত শাহজাহান সিরাজ ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। সম্প্রতি টাঙ্গাইল শাড়িকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি  নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এর রেশ না কাটতেই দেশের সব ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের তালিকা তৈরি ও নিবন্ধনের নির্দেশনা চেয়ে আইনি লড়াই শুরু করেছেন সারোয়াত সিরাজ শুক্লা।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি হয়। শুনানিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জিআই পণ্যের ইতিহাস ও আইনি যুক্তি তুলে ধরেন ব্যারিস্টার সারোয়াত সিরাজ শুক্লা।

একর্পযায়ে আদালতে এই আইনজীবী বলেন, আমি টাঙ্গাইলের মেয়ে। টাঙ্গাইলের সেই ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়ি পরে আজ কোর্টের শুনানিতে অংশ নিয়েছি। 

শুনানি শেষে আদালত দেশের সব জিআই পণ্যের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে রেজিস্ট্রেশন হওয়া পণ্যসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে রেজিস্ট্রেশনযোগ্য এমন জিআই পণ্যের তালিকা দাখিল করতে সরকারকে এক মাস সময় দেন আদালত। পাশাপাশি জিআই পণ্যের তালিকা তৈরি ও রেজিস্ট্রেশনে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বাণিজ্য সচিব, কৃষি সচিব ও সংস্কৃতি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারোওয়াত সিরাজ শুক্লা।

এর আগে, গতকাল রোববার বাংলাদেশের সবগুলো জিআই পণ্যের তালিকা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন টাঙ্গাইলের মেয়ে ব্যারিস্টার সারোওয়াত সিরাজ শুক্লা।

সম্প্রতি কয়েকশ বছরের পুরোনো টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের দাবি করে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তারপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে দেশটির শিল্প মন্ত্রণালয়।

ভারত টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিমবঙ্গের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা শুরু হয়। তখনই দেশি জিআই পণ্যের তালিকা করার বিষয়টি সামনে আসে।

এমএইচডি/কেএ