জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার মূলহোতা মো. মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন (৪৪) ও তার অন্যতম সহায়তাকারী মো. মুরাদ হোসেন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তারা ধর্ষণের ঘটনায় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলাম তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে হল-সংলগ্ন জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে এক ছাত্রলীগ নেতাসহ কয়েকজন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী। পরে মামলার আসামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান ও অন্য চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) গণধর্ষণের মূল পরিকল্পনাকারী মামুনুর রশিদ মামুনকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ ছাড়া ধর্ষণের অন্যতম সহায়তাকারী মো. মুরাদকে নওগাঁ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এনআর/এসএসএইচ