ইউনিয়ন পর্যায়ে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সেবাদানকারী ‘পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা’ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। 

এর ফলে ১ হাজার ৮০টি শূন্য পদে নিয়োগের ফলাফল প্রকাশে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

পৃথক দুটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে মা ও শিশুর প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা-দানকারী ‘পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা’ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা পরিপত্র কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিব, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ চার বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ১০ মার্চ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার ১ হাজার ৮০টি শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিজ্ঞপ্তির তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ১১ মে পরীক্ষার ফল ঘোষণা করে অধিদপ্তর। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ৭ হাজার ৬২১ জন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে ১৫মে থকে ১৮ জুন পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ না করে গত ১৪ জানুয়ারি নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়।

আইনজীবী বলেন, ২০২০ সালে করোনা ভাইরাস মহামারী শুরু হওয়ার আগে থেকে সারা দেশে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার ২ হাজার ৬৭৬টি পদ শূন্য ছিল। এর মধ্যে ২০২০ সালে ১ হাজার ৮০টি শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় সরকার। সাড়ে তিন বছর পর এর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হয়। মৌখিক পরীক্ষার পর ফল প্রকাশ না করে অনিয়মের অভিযোগ তুলে লিখিত পরীক্ষাটি বাতিল করা হয়। 

এদিকে ইতোমধ্যে মৌখিক পরীক্ষা পর্যন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সরকার ১৫ কোটি টাকার মত ব্যয় করেছে। আবার লিখিত পরীক্ষা হলে আবারও ব্যয় হবে। আর সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নিয়োগ পেতে পেতে আরও তিন বছর লেগে যেতে পারে নিয়োগ প্রত্যাশীদের। ফলে সংক্ষুব্ধ নিয়োগ প্রত্যাশীদের পরীক্ষা বাতিলের পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছেন।

এমএইচডি/এমএমএস