ফাইল ছবি

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো ১২ মার্কিন সিনেটরের চিঠিতে বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, কোনো দেশের বিচার প্রক্রিয়া না জেনে কোনো ধরনের মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া দেওয়া সঠিক নয়।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে ড. ইউনূসকে নিয়ে ১২ সিনেটরের চিঠির বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া সমুচিত নয়। কারণ তিনি বিচার বিভাগের কেউ নন। প্রকাশ্য আদালতে ড. ইউনূসের মামলার বিচার হয়েছে। এটা নিয়ে কারও কোনো বক্তব্য বা প্রতিক্রিয়া থাকলে বাতিল করার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে তারা তাদের বক্তব্য দিতে পারেন।

তিনি বলেন, বহির্বিশ্বের যেসব ব্যক্তি বা সংস্থা ড. ইউনূসের মামলা নিয়ে কথা বলছেন, তারা বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে কিছু জানেন না অথবা কেউ তাদের প্রভাবিত করে এসব কাজ করাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার (২২ জানুয়ারি) নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি পাঠান মার্কিন পার্লামেন্টের ১২ জন সিনেটর। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, এক দশকের বেশি সময় ধরে অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশে দেড় শতাধিক ভিত্তিহীন মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। এগুলোর মধ্যে সম্প্রতি দেশের শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় মুহাম্মদ ইউনূসের ছয় মাসের কারাদণ্ডের রায়ের মামলাও রয়েছে। খ্যাতিনামা সংস্থাগুলো বলেছে, বিচারপ্রক্রিয়ার গতি এবং বারবার ফৌজদারি কার্যধারার ব্যবহার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিচারব্যবস্থার অপব্যবহারের ইঙ্গিত দেয়। চলমান রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের প্রচেষ্টাকে অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়।

এমএইচএন/কেএ