বই পড়ার তাগিদ দিয়ে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, কোনো বই পড়াই বৃথা যায় না। সব বইয়েই জ্ঞানের স্পর্শ আছে। তাই বই পড়াটা অভ্যাসে পরিণত করা খুব প্রয়োজন।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘বইয়ের সমাহার আমরা দেখতে পাই লাইব্রেরিতে। আজকাল লাইব্রেরির কলেবর পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ মানুষ আজকাল মোবাইলে বই পড়ছে। সেজন্য লাইব্রেরির প্রতি আকর্ষণ কমছে। আমাদের এই উপমহাদেশে অনেক পুরোনো লাইব্রেরি আছে। কিন্তু সেসব লাইব্রেরিতে মানুষের পদচারণা অনেকাংশেই কমে গেছে। লাইব্রেরির প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে হবে। সেটি করতে হলে পাঠক বাড়াতে হবে।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘কোনো বই পড়াই বৃথা যাবে না। সে আপনি আইনের বই পড়েন বা সাহিত্যের বই পড়েন বা রান্নার বই। সব বইয়েই জ্ঞানের স্পর্শ আছে। তাই বই পড়াটা অভ্যাসে পরিণত করাটা খুবই প্রয়োজন। আর বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হলে হাতের কাছে একটি বই যোগানের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

সেই যোগানের ব্যবস্থা করতেই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রতিবছর বইমেলার আয়োজন করে জানিয়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আইনের বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়তে আইনজীবীদের পরামর্শ দেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, অন্যান্য বই মামলায় আইনি যুক্তি উপস্থাপনের পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নিতে বা রায় দিতে সহায়তা করবে। পড়াশোনা বৃথা যাবে না। পড়ার কোনো বিকল্প হয় না। পড়ার একমাত্র সম্পূরক হচ্ছে ভ্রমণ।’

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সমিতির সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল, সাবেক সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মেহেদী।

প্রায় এক দশক ধরে প্রতি বছর বইমেলার আয়োজন করে থাকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। সমিতি ভবনের ভেতরে মিলনায়তনের পাশে খালি জায়গায় এ বইমেলার আয়োজন করা হয়। এবারের বইমেলায় ৪১টি স্টল স্থাপন করা হয়েছে। আইনের বইয়ের পাশাপাশি সাংবাদিকতা, সাহিত্যের বইও পাওয়া যাচ্ছে এসব স্টলে। জানুয়ারি মাসজুড়ে এ মেলা চলবে।

এমএইচডি/পিএইচ